খুলনা, বাংলাদেশ | ১৫ মাঘ, ১৪৩১ | ২৯ জানুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  বর্তমান নেতৃত্ব ও ফ্যাসিবাদী আদর্শ থেকে আলাদা না হলে আওয়ামী লীগকে বিক্ষোভ করার অনুমতি দেয়া হবে না : প্রেস সচিব
  ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি আরও ২১ জন

খুলনায় ভবন দখলের নেতৃত্ব দেওয়া গণঅধিকার পরিষদ নেতাকে অব্যাহতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলনা নগরীর পঞ্চবীথি ক্রীড়া চক্রের কার্যালয় ভবনটি দখলের অভিযোগে গণঅধিকার পরিষদের মহানগর সাধারণ সম্পাদক এস কে রাশেদকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

গত ২৭ জানুয়ারি রাতে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে সোমবার নগরীর শান্তিধাম মোড়ে অবস্থিত দোতলা ভবনের তালা ভেঙে পঞ্চবীথির সাইনবোর্ড ফেলে দিয়ে সেখানে গণঅধিকার পরিষদের ব্যানার টানান নেতাকর্মী। এর নেতৃত্বে ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের খুলনা মহানগর সাধারণ সম্পাদক শেখ রাশিদুল ইসলাম রাশেদ। তিনি এসকে রাশেদ নামে পরিচিত।  বিষয়টি নিয়ে  খুলনা গেজেট  সংবাদ প্রকাশ হয়। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

রাতে গণপরিষদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘গণঅধিকার পরিষদ, খুলনা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় জ্বালানি বিষয়ক সহ সম্পাদক এস কে রাশেদকে দলীয় গঠনতন্ত্র বিরোধী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।’

ক্লাব সদস্যরা জানান, নগরীর শান্তিধাম মোড়ের একটি দোতলা ভবনে প্রায় ১৪ বছর ধরে পঞ্চবীথি ক্রীড়া চক্রের কার্যালয় রয়েছে। ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল মোল্লা জানান, ভবনটি গণপূর্ত বিভাগের কাছ থেকে বরাদ্দ নিয়ে তারা ক্লাবের কার্যালয় করেন। বরাদ্দ নেওয়ার পর যুবলীগ নেতা নাহিদ মুন্সী তাঁর মায়ের নামে ভুয়া বরাদ্দ নিয়ে আসেন। এ নিয়ে আদালতে মামলা করে ক্লাব কমিটি। মামলাটি আদালতে চলমান। বরাদ্দ নেওয়ার পর থেকেই ভবনটিতে পঞ্চবীথির কার্যালয় রয়েছে।

ক্লাবের সভাপতি রফিকুল ইসলাম খোকন অভিযোগ করেন, ‘ভবনের নিচতলার একটি ও দোতলার চারটি কক্ষে পঞ্চবীথির কার্যক্রম চলে। অন্যান্য কক্ষে একাধিক সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের কার্যালয় রয়েছে। গতকাল গণঅধিকার পরিষদের লোকজন ক্লাব ভবন দখল করে নিয়েছে।’

তবে গণঅধিকার পরিষদের খুলনা মহানগর সাধারণ সম্পাদক শেখ রাশিদুল ইসলাম রাশেদ দাবি করেছিলেন, ‘পঞ্চবীথি ক্লাবে জুয়াসহ বিভিন্ন অপকর্ম চলত। আমাদের ছেলেরা সেগুলো বন্ধ করে ব্যানার লাগিয়ে দিয়েছে। ভবনটি গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহারের জন্য জেলা প্রশাসকের দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। অনুমোদন প্রক্রিয়া ৭০ শতাংশ এগিয়েছে। শিগগিরই আমরা অনুমতি পেয়ে যাব। তখন ভবন ব্যবহার করব।’

 

খুলনা গেজেট/হিমালয়




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!